ঢাবির ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ,ধানমণ্ডির লাস ভেগাস ক্যাফেতে ডিনার করে
রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ কেয়ারী ক্রিসেন্ট ভবনের ১১ তলায় অবস্থিত লাস ভেগাস ক্যাফে ও কনভেনশন সেন্টারে ডিনার করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ তম সমাবর্তনের পরদিন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থী কনভোকেশন ডিনার করার জন্য শিক্ষার্থীরা লাস ভেগাস ক্যাফে ও কনভেনশন সেন্টারে যায়। সেখানে খাবারের সাথে পরিবেশন করা কোমল পানীয় পেপসি খেয়ে দুইজন জায়গাতেই সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বোতলের গায়ে থাকা উৎপাদন ও মেয়াদ লক্ষ্য করে দেখতে পান পরিবেশনকৃত কোমল পানীয়গুলির ৮-৯ মাস আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
শ্যাওলা পড়া পেপসির বোতল
মেয়াদোত্তীর্ণ এসব বোতলের নিচে শ্যাওলা জমে গেছে। পরবর্তীতে ওখানে থাকা পেপসির কেসে পাওয়া সবগুলো বোতল মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ায়; রেস্টুরেন্টে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কোন সদুত্তর দিতে না পারায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ধানমন্ডি মডেল থানাকে এ ব্যাপারে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৫ টি মেয়াদোত্তীর্ণ পেপসির খালি বোতল প্রমাণ হিসেবে জব্দ করে এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও ২ কর্মচারীকে আটক করে নিয়ে যায়।
অসুস্থ ১৪জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জনকে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা এখন হলে অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থী রাহাত রনেলে বলেন, রেস্টুরেন্ট এর কিচেনে রাখা পেপসির খালি বোতল দেখে বুঝতে পারি দীর্ঘদিন ধরেই তারা মেয়াদোত্তীর্ণ পানীয় পরিবেশন করে আসছে। অনুমান করছি, তারা অনেকদিন যাবত এরকম ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছেন।
শ্যাওলা পড়া পেপসির বোতল
এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তড়িৎ হস্তক্ষেপে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান রাহাত । দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য অনুরোধ করেন।
একইসাথে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বহনের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
রেস্টুরেন্টের মালিকপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।উৎস-টিবিটি