লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে ইলিশের সংকট, হতাশায় ক্রেতা-বিক্রেতারা

সেপ্টেম্বর ২৬ ২০২২, ১০:৫২

Spread the love

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর জেলার বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মেঘনা নদীর ইলিশ। এই নিয়ে হতাশ ক্রেতারা। জেলেদের দাবি, ভরা মৌসুমেও মেঘনায় তারা আশানুযায়ী মাছ পাচ্ছেন না। তাই বাজারে ইলিশ কম, দাম বেশি।

লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী, উত্তর তেমুহনী মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাটকা ইলিশের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আধা কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম হাজারের উপর। আর এক কেজি ওজনের মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।

এই ছাড়া জেলার ভবানীগঞ্জ, তোরাবগঞ্জ, মান্দারী, জকসিন বাজারসহ প্রায় সব বাজারেই চড়া দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

দক্ষিণ তেমুহনীতে মাছ কিনতে আসা সুমন দাস বলেন, ‘আগের বছরগুলোর তুলনায় এই বছর ইলিশের দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। আমরা ইলিশের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করে তা সব শ্রেণির মানুষের নাগালের মধ্যে আনার দাবি জানাচ্ছি।’

বাহার উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘মাছের যে দাম, তাতে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব হচ্ছে না।’

বিক্রেতা আবুল বাশারের দাবি, ঘাটে ইলিশের পরিমাণ কম। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এই ছাড়া দেশি মাছেরও উপস্থিতি কম। তাই ইলিশসহ সব মাছেরই দাম একটু বেশি।

সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ট্রলার মালিক মো. দুলাল বলেন, ‘মেঘনা নদীতে মাছ কম। তাই জেলেরা গভীর নদী এবং সাগরে গিয়ে মাছ ধরছেন। ভরা মৌসুম হলেও সেখানেও আশা অনুযায়ী মাছ উঠছে না জেলেদের জালে।

‘একদিকে মাছ কম, অন্যদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মাছ ধরতে জেলেদের খরচ বেশি পড়ছে। তাই ঘাটে একটু বেশি দামে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে।’

এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার জামান বলেন, ‘গভীর নদীতে থাকা জেলেরা কিছু মাছ ধরতে পারলেও কমলনগর ও সদরের অংশে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না। নদীর গভীরতা দিন দিন কমে যাওয়ায় এমন হচ্ছে।

‘ইলিশ গভীর পানির মাছ হওয়ায় অল্প পানিতে আসতে পারছে না। এই ছাড়া নদীর মুখে কিছু অসাধু জেলে টং জাল পেতে রাখাতেও মাছ মেঘনায় ঢুকতে বাধা পাচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও