বাণিজ্য মেলায় বিক্রি বাড়ায় খুশি প্যাভিলিয়ন ও স্টল মালিকরা,ক্রেতার পছন্দ বর্ণিল বিলাসী পণ্য

জানুয়ারি ১৮ ২০২৩, ১৭:৪৯

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ বিক্রি বেড়েছে, বেড়েছে লোক সমাগমও। মূল্য ছাড়ও শুরু করেছে স্টলগুলো। কম দামে কিনতে পেরে ক্রেতারা যেমন খুশি, বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় স্টল মালিকরাও খুশি। প্রথম দিকে বেচা কেনা কম হলেও এখন ভাল বেচাকিনি হচ্ছে বলেও জানান দোকানীরা।

বাংলাদেশের মানুষের সৌখিনতার গল্প এখন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া বিদেশিদের মুখে মুখে। মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি নিয়ে উচ্ছ্বসিত তুর্কি প্যাভিলিয়নের অরজিনাল ইস্তাম্বুল স্টলের মালিক সিহান জামুর বলেন, এদেশের মানুষ শৌখিন। তারা সুন্দরের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়। পছন্দও ভালো। আপ্যায়ন জানেন। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় শখের জিনিস কেনেন। তার সরল স্বীকারোক্তি, এদেশের মানুষের শৌখিনতার কারণেই বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া বিদেশি স্টলগুলোতে প্রচুর কেনাবেচা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার মেলায় তুরস্কের এই প্যাভিলিয়নে গিয়ে পণ্য বিক্রির কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি এ কথা বলেন। তুরস্কের নাগরিক সিহান জামুর তার পিতা সিমাল জামুরকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় স্টল দিয়েছেন। আলোকসজ্জার উপকরণাদি ও কসমেটিকস বিক্রি করছেন তারা। গত ১৮ বছর ধরে তারা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছেন।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালসহ ১০টি দেশ অংশ নিয়েছে। মেলায় ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুইটি হল ছাড়াও এর সামনে পিছনে বসানো হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন। এবার মেলায় ৩৩১টি স্টল বসেছে। এদের মধ্যে দেশি ৩১৪টি। বিদেশি ১৭টি। বিদেশি এসব স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বেশ ভিড়। বিদেশি এই স্টলগুলোতে জুতা, পোশাক, কসমেটিকস, হারবাল, শীতবস্ত্র, কার্পেট, শালসহ গৃহস্থালির উপকরণের চাহিদা বেশি। বিদেশি কার্পেট ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি কাশ্মীরি শাল ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা জানান, বিদেশি পণ্য বেশ দৃষ্টিনন্দন বিলাসী। তবে সব পণ্য দেখেশুনে দাম যাচাই করে কেনার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

থাইল্যান্ডের স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি মনির হোসেন সোহাগ বলেন, মেলার আয়োজন ভালো। সমস্যা নেই। তবে ধুলাবালুতে পানি দিতে পারলে পরিবেশ সুন্দর হতো। মেলায় তুরস্কের বাতিঘর সবার নজর কাড়ছে। তৈজসপত্র, গহনা, থালা-বাসন, আলোকসজ্জার ও ঘর সাজানোর উপকরণ দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। একটি ল্যাম্প ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। তুরস্কের সুলতান হোমসের মালিক শাহ্ আলী তাজ ২০১০ সাল থেকে বাণিজ্য মেলায় পণ্য নিয়ে আসেন।

মেলার আশপাশে আবাসিক সমস্যার কারণে তিনি উত্তরায় ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকেন। তিনি বলেন, মেলা এলাকায় আবাসিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো সমস্যা নেই। মেলার শেষের ১৫ দিনে কেনাবেচা ভালো হয় বলে জানালেন তিনি। রাজধানীর মালিবাগ থেকে মেলায় আসা গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার বলেন, নিজের ঘর ভিন্ন ভাবে সাজাতে চায় সবাই। সাজসজ্জার জন্য তুর্কির ল্যাম্পগুলো খুবই সুন্দর। এখানকার পণ্যের দাম বেশি হলেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বিদেশিদের বিশেষভাবে মেলায় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।####

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও