রুইয়া থানায় আমতলী বাজারে নকল কীটনাশকের রমরমা ব্যবসা

এপ্রিল ০২ ২০২৩, ১৮:০১

Spread the love

জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানায় ঝাঁড়গাঁও আমতলি বাজারে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কিছু অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী জাকির ট্রেডাস প্রোপাইটার মোঃ আবু তাহের ও ভাই ভাই ট্রেডার্স প্রোপাইটর রোমান হোসেন মিম পেক্স কোম্পানির মোড়কে আল্টিমা প্লাস প্রোডাক্টের ভেজাল কীটনাশকের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী । ফলে প্রতারিত হচ্ছেন এলাকার নিরীহ গরিব চাষিরা। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় এসব অসাধু ব্যবসায়ী প্রতারণার সাহস পাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানা যায়, চলতি বোরো মওসুম ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের রুইয়া থানা ঝাঁড়গাঁও আমতলির বাজার এবং গুনজুরহাট বাজারে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের কীটনাশকের দোকানগুলোতে নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক এবং নামি ও বেনামি কোম্পানির কীটনাশক বিক্রি করছে। ধান ক্ষেতের আগাছা, ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমনে, বাড়তি ফলনের আশায় কম দাম ও নজরকাড়া মোড়ক দেখে এসব কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন প্রান্তিক নিরীহ কৃষকেরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে সার, কীটনাশক ভেজাল কারবার রোধে নেয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।

জানা যায়, কীটনাশক বিক্রেতাদের প্রত্যেকের স্টক, সেলস রেজিস্ট্র্রার থাকার পাশাপাশি কীটনাশক আর্ডিন্যান্স ৭১ অনুযায়ী পরিদর্শন বই থাকতে হয়। এ ছাড়া ক্রেতাদের বিক্রির রসিদও দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে কোম্পানির ইনট্যাক্ট কীটনাশকের বোতল খুলে তা খুচরা বিক্রি করে, যা কীটনাশক বিক্রি আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।বিভিন্ন হাটবাজার এবং গ্রাম অঞ্চলে কীটনাশকের দোকানগুলোতে নিম্নমানের হরেক রকম কীটনাশক অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুইয়া থানা আখানগর ইউনিয়নের ঝাড়গাও গ্রামের কৃষক ফজলুর ও জব্বার এবং কামাল হোসেন জানান, বাজারে যে পরিমাণ বিভিন্ন নামের কীটনাশক এসেছে তা দেখে আমরা গোলক ধাঁধায় পড়ে যাই। কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষমতা আমাদের নেই। কেবল মাত্র কীটনাশক ব্যবসায়ীদের প্ররোচনায় আমরা এসব ভেজাল কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করছি। ফলে আমরা ফসল উৎপাদনে কীটপতঙ্গ দমনে ব্যর্থ হচ্ছি। এসব ওষুধ জমি রোপণের পর রোপণকৃত জমিতে আগাছানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যার ব্যবহারে জমির সব আগাছা মরে ও পচে যায়। জমিতে কোনো নিড়ানী দিতে হয় না। ভেজালের ওষুধের কারণে জমিতে প্রয়োগ করে এখন আর ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না।

এ নিয়ে সদর উপজেলার রুহিয়া থানার কৃষি কর্মকর্তা অরুণ রায় জানান, বিষয়টি আমার মোড়ক দেখে ভেজাল মনে হচ্ছে। আমি উদ্ধতম কর্মকর্তাকে জানিয়েছি ওনারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানান কোনো কৃষক যদি তৎক্ষণাৎ আমাদের ফোন করে জানান, তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যবসায়ী ভেজাল ও নকল সার ও কীটনাশক বিক্রি করছে এমন খবর বা প্রমাণ পেলে আমরা দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আল্টিমা প্লাস এর ডিলার একরামুল ইসলাম মেজাজ বলেন কিছু কীটনাশক অসাধু ব্যবসায়ী কৃষককে দুই নাম্বার কীটনাশক দিয়ে ফসলের ক্ষতি করাচ্ছে এদের দোকান সিলগোলা করে দেওয়া উচিত এবং উনি বলেন কৃষকদের কাছে আমার অনুরোধ উনারা যেন আমার দোকানে এসে সঠিক পণ্যটাই গ্রহণ করে

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও