প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গুলিয়াখালীতে বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ডের ইউএনও
আনোয়ার হোসেন বুরো প্রধান চট্টগ্রাম : সীতাকুণ্ডে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসন ও ইপসা’র উদ্যোগে ব্রিজ, পাকা টয়লেট, চেঞ্জিং রুম, মাতৃদুগ্ধ কর্নার,পরিবেশসম্মত আধুনিক ডাস্টবিন এবং ছাউনিযুক্ত বেঞ্চ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের আওতাধীন
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রথম আধুনিক মানের উন্নত স্থায়ী এসব স্থাপনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি সমুদ্র সৈকতে প্রত্যেকটি দোকানকে এক সারিতে নির্মানের জন্য সবুজ ঘাসের বুকে খাঁজকাটা আকর্ষনীয় স্থানটি ছেড়ে দিয়ে দক্ষিণ দিক করে একটি জায়গা নির্ধারন করেন। এবং পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় ইপসা’র ব্রিজ, পাকা টয়লেট, মাতৃদুগ্ধ কর্নার ছাউনী যুক্ত বেঞ্চ নির্মাণে জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় সুধীমহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইপসা ইকোট্যুরিজম প্রোগ্রামের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার সাংবাদিক মোঃ হাকিম মোল্লার সার্বিক পরিচালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান, মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এস.এম রেজাউল করিম বাহার, ইপসা ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইডিপি)’র পরিচালক মোঃ মনজুর মোরশেদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার কামরুদ্দৌজা। ইকোট্যুরিজম প্রজেক্ট ফোকাল পার্সন নেওয়াজ মাহমুদ, সীতাকুণ্ড ইপসা এরিয়া ম্যানেজার মোঃ তোফায়েল হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ নুরুল আমীন সফিক, সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান, মোঃ আবুল কালাম, ইপসা-আইডিপিডিপি’র প্রোগ্রাম অফিসার মাহিনুল ইসলাম, বিডিও সৈকত চন্দ্র পাল, হাসান ট্রেডার্স এর সত্বাধিকারী মোঃ আবু তাহের, মোঃ নোয়া মিয়া প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পর্যটন-২ অধিশাখা এর আওতায় ১০ জানুয়ারি ২০২২ গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
উক্ত পর্যটন সংরক্ষিত এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, সমুদ্র সৈকত এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পার্কিং, পরিবহণ, দোকাপাট বিষয়ে ভূমিকা রাখছে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি। পাশাপাশি স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা ইকোট্যুরিজম প্রজেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারা বাহিকতায় পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প গড়তে ব্রিজ, পাকা টয়লেট, ছাউনিযুক্ত বেঞ্চ নির্মাণে এগিয়ে এসেছে। এতে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় সুধীমহলের সহযোগিতা কামনা করি। পর্যটকদের জন্য এসব সুবিধা প্রদাণ করা হলে এ অঞ্চলের অনেক বেকার যুবকরা উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে, জীবনমানের পরিবর্তন ঘটবে। পরিবেশবান্ধব গুলিয়াখালীর এই পর্যটন শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। সরকারি কোষাগারে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।