এ ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিক মানুষ থেকে মানুষে,প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে,জাগুক বিশ্ব মানবতা
নাঈম ইসলাম: প্রিয় মানুষটিকে ভালবাসার পূর্ণতা দানে, প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ভালবাসার মহাত্ম প্রকাশের মাধ্যমে,ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও নানান আয়োজনের মাধ্য দিয়ে ভালবাসা দিবস পালিত হচ্ছে।পশ্চাত্য উৎসব ভেলেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবসে দোল লেগেছে বাংলাদেশে।সারা বিশ্বের ন্যয় বাংলাদেশেও ভালবাসা দিবস পালিত হচ্ছে।এরি ধারাবাহিকতায় ভালবাসার জনান দেয়ার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে ঘিরে আয়োজনের কোন কমতি ছিলনা।বিশেষ এই দিনটিকে ভালবাসার সম্পর্কগুলো আরেকটু যত্ন নেবার উপলক্ষ হিসাবে দেখছেন কেউ কেউ। আবার কারো কারো মতে ভালবাসার নেই কোন সীমানা,নেই বিশেষ কোন দিন।তবু বিশেষ দিন বিশেষই।আর বিশ্বভালবাসা দিবসের আবেদন ভালবাসার মানুষের কাছে একদম আলাদা।বিশেষ এ দিবসে প্রিয়জনকে উপহারে বরন করে নিয়ছেন সকলে।ভালবাসা দিবসটি শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলনা।ভালবাসার বিশেষ এই দিনটিতে পরিবারের আপনজন মা-বাবা,ভাই-বোনদের নিয়েও দিনটিকে উদযাপন করছেন অনেকেই।ভালবাসার বিশেষ এই দিনটি ৪৯৬ খৃষ্টাব্দের ১৪ ই ফ্রেব্রুয়ারী থেকে পালিত হয়ে আসছে।২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্টভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস এর আমলের এই ধর্মযাজক ছিলেন
শিশুপ্রেমিক,সামাজিক ও সদালাপী এবং খৃষ্টধর্ম প্রচারক। আর রোম সম্রাট ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। ঐ সম্রাটের পক্ষ থেকে তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারুদ্ধ হওয়ার পর প্রেমাসক্ত যুবক-যুবতীদের অনেকেই প্রতিদিন তাকে কারাগারে দেখতে আসত এবং ফুল উপহার দিত। তারা বিভিন্ন উদ্দীপনামূলক কথা বলে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে উদ্দীপ্ত রাখত এক কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেত। অনেকক্ষণ ধরে তারা দু’জন প্রাণ খুলে কথা বলত। একসময় ভ্যালেন্টাইন তার প্রেমে পড়ে যায়।সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের চিকিৎসায় অন্ধ মেয়েটি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।ভ্যালেন্টাইনের ভালবাসা ও তার প্রতি দেশের যুবক-যুবতীদের ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে
২৬৯ খৃষ্টাব্দের তাকে মৃত্যুদন্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল।এই ঘটনার প্রাই ২৫০ বছর পর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন।তখন থেকেই ভালাবসার বিশেষ দিন হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে।বিশেষ এ দিনে প্রিয়জনকে ফুলসহ বিভিন্ন কিছু উপহারে বরণ করে নিয়েছে সকলে।তরুন তরুনীদের এ দিনকে ঘিরে আবেদন এবং উদযাপনকে সহযাত হিসেবেই দেখছেন অনেকে।ফাগুনে নবীন আনন্দ এ ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিক মানুষ থেকে মানুষে,প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে,জাগুক বিশ্ব মানবতা।বিশ্বভালোবাসা দিবসের এই বিশেষ দিনটির মত ভালোবাসার গুরুত্ব টা থাকুক সারাবছরই এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।