হলমার্কের পর জট খোলার সম্ভাবনা যুবক সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের

সেপ্টেম্বর ০৭ ২০১৯, ১৩:৫০

Spread the love

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধসাপেক্ষে নতুন করে তাদের কার্যক্রম শুরু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে হলমার্ক এ ধারায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এরপর যুবকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ দিনের জটলা কাটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যুবকের বিষয়টি দেখা হবে। যুবকের ইস্যুটি অনেক পুরনো। আমি নিজে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কথা বলব। যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) ক্ষতিগ্রস্ত তিন লাখ গ্রাহকের পাওনা আড়াই হাজার কোটি টাকা।

বর্তমানে দেশব্যাপী যুবকের পরিত্যক্ত সম্পদের মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকা- যা বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব। এ জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগের সুপারিশ করেছিল সরকারের গঠিত যুবকসংক্রান্ত পর পর তিনটি কমিশন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আজও প্রশাসক নিয়োগ হয়নি। ফলে পরিত্যক্ত যুবকের সম্পদগুলো চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের দখলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যুবকে প্রশাসক নিয়োগসহ দীর্ঘ দিনের এ সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত জনকল্যাণ সোসাইটি। ওই চিঠিতে বলা হয়, যুবকসংক্রান্ত তিনটি কমিশনের সুপারিশ এবং যুবকের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান করেননি।

গত ছয়টি বছর আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের আরও অপরাধ করার সুযোগ করে দিয়েছে। অপরাধীরা যুবক নিয়ে নতুন অনিয়ম শুরু করেছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, যুবকের সম্পত্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সর্বশেষ যুবকের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল যুবকের বিরুদ্ধে জনগণ কোনো মামলা করেনি এবং মাত্র ৮০ একর জমি আছে, যা দিয়ে দেনা পরিশোধ সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

কারণ যুবকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত শতাধিক মামলা হয়েছে। আর যুবক কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছে ২ হাজার ২০০ একর জমি আছে বলে হিসাব দাখিল করেছে। আর আমাদের পক্ষ থেকে জমির সন্ধান পাওয়া গেছে ৩ হাজার একরের। ওই চিঠিতে যুবকের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের জন্য একজন প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়।

যুবকের সমস্যা নিষ্পত্তি করতে ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে কমিশন গঠন করা হয়। এছাড়া রফিকুল ইসলামকে চেয়ারম্যান করে ২০১১ সালের ৪ মে দ্বিতীয় একটি কমিশন গঠন করে সরকার। পাশাপাশি ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়।

জানা গেছে, যুবক কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাস উদ্দিন তার রিপোর্টে বলেছিলেন, যুবকের মোট গ্রাহক ২ লাখ ৬৭ হাজার ৩০০ জন। এসব গ্রাহক যুবকের কাছে পাওনা হচ্ছেন ২ হাজার ১৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে যুবকের সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকের দায় দেনা পরিশোধ সম্ভব।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও