এনআরসিতে শেষ পর্যন্ত নাম না উঠলেও কোনও হিন্দুকে রাষ্ট্রহীন করা যাবে না,ভারতবর্ষ হিন্দুদের রাষ্ট্র, এখানে কোনও হিন্দু বিদেশি হতে পারে না,আসাম হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ
সভাপতি বলেন, “আমরা হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং আমাদের শাখা আসামের প্রায় প্রত্যেক এলাকায় রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হিন্দু ভাবাপন্ন সংগঠন সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে। ৩১ আগস্ট তালিকা প্রকাশের পর এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদের সঙ্গে যখন আমরা দেখা করলাম তখন জানতে পারলাম, ১৯৫২, ১৯৫৪ বা ১৯৬০ সালের নথি থাকার পরও এনআরসির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে হিন্দু পরিবারদের। অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবার নাম রয়েছে অথচ সন্তানের নাম তালিকায় ওঠানো হয়নি। অথচ সম্প্রতি আমরা দেখেছি বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলায় এক মুসলমান পরিবার ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ভিসায় ভারতে এসে তাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘খবরে শোনা যাচ্ছে তার পরিবারের আরেক সদস্য বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিক অথচ ভারতবর্ষে তার ভোটার কার্ড ইত্যাদি রয়েছে। এভাবেই লক্ষ লক্ষ অবৈধ মুসলমান অনুপ্রবেশকারী এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে সমর্থ হয়েছে আর প্রতীক হাজেলা হিন্দুদের নাম বাদ দিয়েছেন। আমরা প্রতীক হাজেলাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছি, সাহস থাকলে ১৯ লাখের তালিকায় থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ্যে আনুন। আমি দাবি রেখে বলতে পারি প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ হিন্দু এই তালিকায় রয়েছেন। তবে শুধুমাত্র প্রতীক হাজেলাকে এর জন্য দায়ী করছি না আমরা, এই ব্যর্থতার সমান দায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারেরও। ৩১ আগস্ট যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এর মাধ্যমে একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও ভারত থেকে বের করে দেওয়া সম্ভব হবেনা বলে মনে করি আমরা।”
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস