কোনো এলাকা বেশি আক্রান্ত হলে সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো-স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

মার্চ ১৯ ২০২০, ১৭:২৭

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ করোনা সন্দেহে বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশেও কোনো এলাকা যদি বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, অবশ্যই সেসব এলাকা লকডাউন করা হবে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে সেখানে লকডাউন করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চায়নাতে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে লকডাউনের মাধ্যমে। অন্যান্য দেশও চায়নাকে অনুসরণ করছে। যদি আমাদের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে এবং আমাদের কোনো এলাকা যদি বেশি আক্রান্ত হয়ে যায়, আমরাও অবশ্যই সে এলাকা লকডাউনে নিয়ে যাবো। আমাদের দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে করোনা থেকে। লকডাউন করাটাই আক্রান্ত এলাকার জন্য একমাত্র উপায়। যার মাধ্যমে আমরা ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবো।

কোন এলাকা লকডাউন করা হতে পারে, এ সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে কি না, কিংবা কোন এলাকায় বিদেশিরা আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশিরা নেই। আমাদের দেশের লোকেরাই। অর্থাৎ, প্রবাসীরা যারা আসে, এর মধ্যে দু-একটি এলাকার খবর আমাদের কাছে আসে। এটা হলো— মাদারীপুর, ফরিদপুর এলাকা। আরেকটা আছে শিবচর এলাকা। এসব এলাকাতে বেশি করে দেখা যাচ্ছে। যদি অবণতি ঘটে। তাহলে আমরা লকডাউনের দিকে যাবো।

বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় আছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা কম, মৃত্যুও হয়েছে একজনের। যে ব্যক্তি মারা গেছেন তিনি কিন্তু অনেক বয়স্ক ছিলেন। তারপরও আবার অনেক ধরনের রোগে ভুগছিলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন বা চিকিৎসার কাজে সেনাবাহিনীকে ইজতেমা মাঠ প্রস্তুত করার জন্য দেয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সব ধরনের অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে। নির্বাচনী মিছিল-সমাবেশ বন্ধে ইসিকে বলা হয়েছে। এছাড়া কারও জ্বর থাকলে গণপরিবহনে ভ্রমণ করা যাবে না।

দেশে করোনাভাইরাসে বৃহস্পতিবার নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭-তে দাঁড়ালো।

আবুল কালাম আজাদ জানান, নতুন করে আক্রান্ত তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে একজন নারী ও দু’জন পুরুষ। আক্রান্ত ওই নারীর বয়স ২২ বছর। পুরুষ দু’জনের বয়স যথাক্রমে ৬৫ ও ৩২ বছর। আক্রান্তদের পরিবারের একজন ইটালি ফেরত।

তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা একজনই।

করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) খোলা হটলাইনে এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৮ জন সেবা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। এরমধ্যে ৮ হাজার ৯৭০ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৭৪৯ জন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও