জাপানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আভিগান (ফাভিপিরাভি)ঔষধের সাফল্যে চিকিৎসকরা আশান্বিত

এপ্রিল ১০ ২০২০, ১৪:০৮

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃকরোনাভাইরাস চিকিৎসায়  সাফল্য এনেছে  ‘আভিগান’ নামে একটি ওষুধ যার একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হলো ফাভিপিরাভি, প্রথম দুধাপের পরীক্ষায় ভালো ফলাফল দিয়েছে, এমন দাবি একদল জাপানি গবেষকের। মাত্র সাত থেকে নয় দিনে একজন রোগী সুস্থ হয়ে যেতে পারেন এই ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে, এমনটিও বলছেন তারা। আভিগান মূলতঃ অ্যান্টি ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধ যা ২০১৪ ও ২০১৬ সালের ইবোলা মহামারীর সময়ে ভালো ফল দিয়েছিল, এবারও তেমনটাই আশা করা হচ্ছে।

তারা দেশটির ১২০ জন রোগীর উপর এটি প্রয়োগ করেছেন। জাপানি গবেষক দলটির দাবি, ত্রিশ বছর বয়সী এক রোগীর উপর আভিগান প্রয়োগ করার পর তিনি মাত্র ৭ দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি।বিজ্ঞানীরা জাপানের চিকিৎসায় চলমান ওরভোসকো নামে একটি ওষুধের সঙ্গে আভিগানের যৌথ প্রয়োগ করেন একজন মধ্যবয়সী রোগীর ওপর। তিনি মাত্র ৯ দিনে সুস্থ হয়ে গেছেন। এমনকি তার পিসিআর ফলাফল নেগেটিভ আসছে।

ওষুধটি সাধারণত ফ্লুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে গত মাসে চীন দাবি করেছে, তারা করোনার চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে। বহু দেশ করোনা মোকাবিলায় ওষুধটি ব্যবহারের চিন্তা করছে। এমনকি বাংলাদেশেও তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এটি করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে জাপানি সংস্থা ফুজিফিল্ম ঘোষণা করে, তারা আভিগান নামক ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা পরীক্ষা শুরু করেছে। এই ওষুধ করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসায় বেশ কিছু দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। কোভিড ১৯-এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকায় অন্য রোগের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, আর্থ্রাইটিস, ইত্যাদির ওষুধ করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে- যার বিভিন্ন রকম ফল মিলছে।ওই গবেষক দল আরও বলছে, সন্তানসম্ভবা নারীদের এ ওষুধ প্রয়োগে নেতিবাচক ফলাফল আসতে পারে, এমন আশঙ্কায় তাদের উপর এটি প্রয়োগ করা হয়নি।

বীকনের অ্যান্টি-ফ্লু ড্রাগ : এদিকে দেশের প্রতিষ্ঠান বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফেভিপিরাভি তৈরি করেছে ফেভিপিরা নামে। ওষুধটি ২০১৪ সালে প্রথম জাপানে তৈরি করেছিল ফুজি ফিল্ম তোয়ামা কেমিক্যাল কম্পানি, যা ইবোলা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে। ব্রড স্পেকট্রাম অ্যান্টিভাইরাল কার্যকারিতার জন্য এটি কভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় চীনা কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে উহান ও শেনজেনে ব্যবহার করেছে। অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফেভিপিরা করোনাভাইরাস চিকিৎসার সময় কমাতে এবং ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও