চলতি বছরের শেষে বা ২০২১সালের শুরুতে করোনা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা চীনের
আগমনী ডেস্কঃচলতি বছরের শেষে বা ২০২১সালের শুরুতে করোনা ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। চীনের সরকারি সম্পদ তদারকি ও প্রশাসন কমিশন (এসএএসএসি)চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে দেয়া এক বিবৃতিতে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।দেশটির উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট করোনার ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে দুই হাজারের বেশি মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএএসএসি।
উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের তৈরিকৃত করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। দেশটির সরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি সিনোফার্মের সহযোগী এ দুই প্রতিষ্ঠান; যার দেখাশোনা করে এসএএসএসি।বিবৃতিতে এসএএসএসি বলছে, বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসের বছরে ১০ থেকে ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
অন্যদিকে, বেইজিংয়ের জৈবপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক তাদের তৈরি করোনার একটি ভ্যাকসিনের ৯৯ শতাংশ কার্যকর হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ সরেজমিনে সিনোভ্যাকের গবেষণাগার পরিদর্শন করে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।গবেষকরা বলছেন, সিনোভ্যাকের তৈরি নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে।
এই ধাপ উতড়ে গেলে তারা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার তৃতীয় ধাপ শুরু করবেন। তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষা যৌথভাবে চালানোর জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সিনোভ্যাক।
চীনে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি করোনা ভ্যাকসিন প্রথম ধাপের পরীক্ষা পেরিয়ে দ্বিতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এসব পরীক্ষার ফল জানা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির প্রকল্প বর্তমানে চালু রয়েছে। তবে করোনাকে থামাতে চূড়ান্ত একটি ভ্যাকসিন পেতে আরও দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: রয়টার্স, স্কাই নিউজ।