ঠেলার নাম বাবাজি,বাংলাদেশি পণ্য গ্রহণ করলো ভারত
বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে ৫ ট্রাক পন্য বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৫ ট্রাক পন্য রফতানি হয়েছে ভারতে। ফলে বেনাপোল বন্দরে ফিরে এসেছে প্রাণ চাঞ্চল্য। এর আগে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো বাংলাদেশী রফতানি পণ্য গ্রহন করতে ভারত রাজি না হওয়ায় গত বুধবার থেকে ভারতীয় সকল প্রকার আমদানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলাদেশী রফতানি পন্য গ্রহন করতে অনীহা প্রকাশ করে। কিন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৭ জুন থেকে প্রতিদিন ২/৩’শ ট্রাক আমদানি পণ্য স্বাস্থ্য বিধি মেনেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রতি বছর ৩০ হাজার কোটি টাকার আমদানি বানিজ্য সম্পন্ন হলেও মাত্র ২ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয় ভারতের সাথে। ৩ মাস বন্ধ থাকায় রফতানি বাণিজ্যে ঘাটতি হওয়ার আশংকা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, ভারত বাংলাদেশী রফতানি পণ্য গ্রহন করতে সম্মত হওয়ায় বিকেলে থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্টরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগদান করেছেন।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, আজ দুপুরের দিকে দুই দেশের কাস্টমস, বন্দর, ও ব্যবসায়ী সংগঠন গুলোর ফলপ্রসু আলোচনার পর ভারত বাংলাদেশী রফতানি পণ্য গ্রহন করতে রাজি হওয়ায় পুনরায় দু’দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। বন্দরের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।