খুলনায় স্কুলের জমিতে খেলা- ধূলার সামগ্রী স্থাপনে বাধা, প্রধান শিক্ষকের জিডি

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি , খুলনা থেকে :খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে শিক্ষার্থীদের খেলা-ধূলার সামগ্রী স্থাপনে বাঁধা দিয়েছে অবৈধ দখলদাররা ।
এমনকি তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন ।এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান শনিবার দিঘলিয়া থানায় জিডি করেছেন ।জিডিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও উল্লেখ করেন ।
জিডিতে উল্লেখ করা হয় , উপজেলার ৭নং দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলা-ধূলার সামগ্রী ( প্লেয়ি এক্সেসরিজ ) স্থাপন করতে গেলে স্থানীয় খাঁন আক্তারুজ্জামান , খান আসাদুজ্জামান , খান বাদল হোসেন ও খান মোস্তাফিজুর রহমান নামে চার ব্যক্তি ওই জমি তাদের দাবি করে বাঁধা দেন ।
এ ঘটনায় তিনি ম্যানেজিং কমিটি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খান নজরুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়লসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করেন ।
তাদের পরামর্শে গত ২৩ জুলাই স্কুলে সভা করা হয়।সভায় বাঁধা প্রদানকারীরা স্কুলের জমিতে খেলা-ধূলার সামগ্রী স্থাপনে সম্মত হন ।
সে মোতাবেক গত ৬ আগষ্ট সেখানে খেলা-ধূলার সামগ্রী স্থাপন করতে গেলে উল্লিখিত ব্যক্তিরা পূণরায় বাঁধা প্রদান করে ।
এমনকি উক্ত জমির দাবিদার নিলুফা ইয়াসমিন তার ভাইদের নিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খাঁন নজরুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান হায়দার আলী মোড়লসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেন ।
এমনকি গণ্যমান্য ব্যক্তিরা চলে গেলে জমির মালিকানা দাবিদাররা স্কুলের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমানকে উচ্চস্বরে হুমকি দেন এবং মামলায় জড়িয়ে সহ বিভিন্ন ভাবে দেখে নেবেন বলেও হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন ।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান উল্লিখিত মৃত খাঁন আবতাব আহম্মেদের ৪ পুত্র ও এক কন্যার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন ।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন , আমি দক্ষিণ দিঘলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছি ।
স্কুলের সম্পত্তি অবৈধভাবে একটিমহল জবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে ।
অথচ স্কুলের বাচ্চারা জায়গার অভাবে খেলাধুলা করতে পারছে না।স্কুলের জায়গা উদ্ধার করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি আসে ।এ কারণে শিক্ষক নিরাপত্তার জন্য দিঘলিয়া থানায় একটা ডায়েরি করেন।
শিক্ষক বলেন যতদিন স্কুলে আছি ততদিন স্কুলের সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবো বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খাঁন নজরুল ইসলাম বলেন , স্কুলের সম্পত্তির উপর অবৈধ ভাবে চারটি পাকা দোকান ঘর তৈরি করা হয়েছে ।এ কারণে বিষয়টি নিয়ে সমস্যার সৃস্টি হয়েছে ।
দিঘলিয়া থানার ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন প্রধান শিক্ষকের সাধারণ ডায়েরীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন , থানার অফিসার ইনচার্জ সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন ।