পতঙ্গভূক বা ‘প্রাণীখেকো’উদ্ভিদের সন্ধান পেয়েছে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ

জানুয়ারি ১৮ ২০১৯, ২২:১১

Spread the love
পতঙ্গভূক বা‘প্রাণীখেকো’ উদ্ভিদের সন্ধান পেয়েছে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ। যে উদ্ভিদটি প্রাণী অর্থাৎ পতঙ্গকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত জমিতে সন্ধান পাওয়া এই প্রজাতির উদ্ভিদটি নিজেদের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমে বেশ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দোলোয়ার হোসেন জানান, মাংসাশী উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম Drosera Rotundifolia যাকে বাংলায় বলা হয় ‘সূর্যশিশির’।

মাংসাশী উদ্ভিদের মধ্যে এই প্রজাতি সবচেয়ে বড়। ৪-৫ সেন্টিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট গোলাকার থ্যালাসসাদৃশ্য উদ্ভিদটির মধ্যে থেকে একটি লাল বর্ণের ২-৩ ইঞ্চি লম্বা পুষ্পমঞ্জুরি হয়। ১৫-২০টি তিন থেকে চার স্তরের পাতা সাদৃশ্য মাংসাল দেহের চার দিকে পিন আকৃতির কাটা থাকে।

মাংসাল দেহের মধ্যভাগ অনেকটা চামচের মতো ঢালু এবং পাতাগুলোতে মিউসিলেজ সাবস্টেন্স নামক একপ্রকার এনজাইম (আঠা) নিঃসৃত হয়।

সুগন্ধ আর উজ্বলতায় আকৃষ্ট হয়ে পোকা বা পতঙ্গ উদ্ভিদটিতে পড়লে এনজাইমে আঠার মাঝে আটকে যায় এবং পতঙ্গ নড়াচড়া করলে মাংসাল পাতার চারদিকে পিনগুলো বেঁকে পোকার শরীরে ফুঁড়ে গিয়ে পোকাকে ধরে ফেলে। এভাবেই এই উদ্ভিদটি পোকা বা পতঙ্গকে ভক্ষণ করে।

গত মঙ্গলবার দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের উত্তর দিকে পরিত্যক্ত ভূমিতে এই উদ্ভিদগুলো শনাক্ত করেন বলে জানান, সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।

নিজ ক্যাম্পাসে এমন উদ্ভিদের সন্ধান পেয়ে আনন্দিত ও গর্বিত সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, পাঠ্যপুস্তকে এমন উদ্ভিদ সম্পর্কে পড়লেও বাস্তবে এমন উদ্ভিদের সন্ধান পেয়ে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি হাতে-কলমে শিখতে পারবে। উদ্ভিদটি সংরক্ষণেরও দাবি তাদের।

পিএইচডি গবেষণায় নিয়োজিত দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবুল হোসেন জানান, মাংসাশী বা পতঙ্গখেকো এই উদ্ভিদটি সংরক্ষণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার ও বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান তার।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও